Monday, November 5, 2018

জীবনের গল্প | খেয়ালির কাছে শুনা | পার্ট-৪

জীবনের গল্প / খেয়ালির কাছে শুনা / পার্ট-৪
র কিছু দিন পর কোরবানির ঈদ ছিলো তখন আমাদের বাসায় অনেকের আসা যাওয়া ছিল এটাই স্বাভাবিক ঈদের সময়।আমাদের বাসায় মেহেমান বিশেষ করে ছেলে মেহমানরা আসলে মা কখনও আমাদেরকে তাদের সামনে যেতে দিতো না নিজেই যথাসাধ্য চেষ্টা করতো আপ্যায়ন এর।এবার ও এলাকর যারা বড় ভাইয়ারা ছিল তারা বাসায় আসলো ঈদে অাম্মু তাদের যথেষ্ট আপ্যায়ন করলো তারপর তারা আম্মুকে উদ্দেশ্য করে বলল আন্টি আপুদের ডাকেন তাদের তো ঈদের সালামি দেওয়া লাগবে। 

প্রথমে আম্নু রাজি না হলে ও পরে আম্মু ঈদের সময় ভেবে কিছু সময়ের জন্য বললো যাও ভাইয়ারা ঈদের সালামি দেবে নিয়ে নাও।তখন আমরা ভাই-বোন কাজিনরা সহ প্রায় ৮জন মতো হব সবাইকে তারা ১০০ টাকা করে সালামি দিলো এভাবে তাদের প্রায় মানিব্যাগ খালি হয়ে গিয়েছিল কারণ একজন ভাইয়ার টাকা শেষ হয়ে যাওয়াতে সে অারেক জনকে বলে টাকা দে ঈদের সময় সালামি দিতে হয়।


এভাবে তারা নিজেদের সর্বশ দিয়ে উপস্থাপন এর চেষ্টা কর ছিলো কারণ সেই সময় ৮০০ টাকা মানে অনেক টাকা তারপর তারা সালামি দিয়ে কিছুসময় থেকে আম্মু থেকে বিদায়
নিয়ে চলে যাই।আর সেইসময়টা যখন আমি সালামি নিতে যাচ্ছিলাম আমার মধ্যে ছিল মাথা নিচু করে
যাবো আর আসবো কারণ আমার মধ্যে অন্য কিছু কাজ করতো না তখন অর্থাৎ প্রেম-ভালোবাসার কতো কিছু যা ওই বয়সে হওয়াটা স্বাভাবিক ছিল।এর কিছুদিন পর আমার বড় বোন মায়া এর বিয়ে ঠিক হলো এক ঘটক দাদির মাধ্যমে ছেলে আমাদের এলাকারই কিন্তু আমরা তাকে কখনো দেখি নাই।
তার বিয়ের সব অনুষ্ঠান বলতে গেলে তার বিয়ের অনেকটা দ্বায়িত্ব ছিলো আমার উপর কারণ বাবার পক্ষে হয়ে আসছিল না সব আর ছোট ভাই তারপক্ষে এইসব অসম্ভব ছিলো।


আমার এখনো মনে আছে গায়ে হলুদ থেকে বিয়ের কার্ড দেওয়া সবই আমি করেছিলাম।আপুর কালমা হয়ে গেল কিন্তু অনুষ্ঠান করে তুলে নিবি ৩মাস পর কারণ আমার দুলাভাই এর সবচেয়ে ছোট ভাই নাকি এমবিবিএস ডাক্তার তার মেডিকেল ছিলো রংপুর এ।সে আসবে বলে বিয়ের অনুষ্ঠান প্রায় তিনমাস পিছানো হল।এর মধ্যে দুলাভাই মাঝে মধ্যে আমাদের বাসায় আসতেন যেহেতু কালমা হয়ে গিয়েছিল।যখন দুলাভাই আসতো প্রথম প্রথম ভালো লাগলে ও পরে আমার বিরক্ত লাগা শুরু হল কারণ দুলাভাই আসা মানে রুম বদলাতে হবে কারণ তারা জামাই-বউ থাকবে।

হঠাৎ একদিন দুলাভাই কাজ শেষ করে রাত প্রায় ১১ টার সময় আসে তখন আম্মু আমাকে ডেকে বলে অন্য রুম এ যা তোর দুলাভাই আসছে তখন আমি আম্মুকে বলি তোমার মেয়ে বিয়ে দিয়ে দিছো ওকে তুলে দাও না কেনো সবসময় এসব ভালো লাগেনা এমনই কিছু একটা বলেছিলাম একটু বাচাল টাইপের ছিলাম কিন্তু বলার সময় আমার গলার শুরটা একটু উচু ছিলো হঠাৎ আব্বু এসে আমাকে ঠাস করে থাপ্পর মারে জীবনে প্রথম কেউ আমাকে এভাবে মারে।আরে আমার রাগ-অভিমান এর জ্বালায় সে রাতে আমি আমার হাত কাটি।কারণ আব্বা আমাকে মারছে এটা আমি মানতে পারছিলাম না।এটাই হয়তো তার প্রতি আমার ভালো-বাসা ছিল।পরে সকালে মা দেখে বকা দিলে ও পরে নিজেই ব্যান্ডেজ করিয়েদে। 

কিন্ত স্কুলে বা কলেজ এ এখনো কেউ দেখলে মনে করে এটা হয়তো আমি প্রেম- ভালোবাসা বা কোনো ছেলের জন্য করেছি কারণ কাটার দাগটা এখনো আমার হাতে স্পষ্ট বুঝা যাই,কিন্তু আমার পরিবারের মানুষই জানে। চলবে...

লেখকঃ আবু নাঈম

Copyright © স্বাধীন নিউজ

Canvas By: Fauzi Blog Responsive By: Muslim Blog Seo By: Habib Blog