তাবলিগের সংঘর্ষে চাপাতির কোপে আহত একজন |
তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। তার নাম ইসমাইল মণ্ডল। ৭০ বছর বয়সী এই মানুষটিকে কোপানো হয় চাপাতি দিয়ে।
নিহত ইসমাইলের গায়ে চাপাতির পাঁচটি কোপ রয়েছে। তিনি মাওলানা সাদ অনুসারী ছিলেন।
বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থার স্থানীয় কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, নিহত বৃদ্ধার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের মিলকিপাড়া গ্রামে।
শনিবার সকালে টঙ্গীর বাটা গেইট এলাকায় ইজতেমা ময়দানের প্রবেশপথে তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষের দফায় দফায় চলা সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয়পক্ষের দুই শতাধিক আহত হন। এতে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানের সামনের রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আহতদের টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এতো সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সরকারি হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে ভিড় বাড়ছে স্থানীয় ক্লিনিকগুলোতে। ইজতেমা ময়দানের চতুর্দিকের প্রবেশপথে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে বেলা ১২টার দিকে ইজতেমা ময়দানের এক পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল ইসমাইল মণ্ডলের মরদেহ। পরে সেটি উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। কখন, কোথায় এই বৃদ্ধাকে কোপানো হয়, সেটি জানা যায়নি। তবে তিনি সকালেই ইজতেমা ময়দানে আসেন বলে জানিয়েছেন সাদ অনুসারীরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত গাজীপুর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা–ডিবির পরিদর্শক একেএম কাওসার চৌধুরী বলেন, নিহত ব্যক্তির মাথায় আঘাত রয়েছে। ধারালো কিছু দিয়ে তাকে কোপানো হয়েছে।
ইসমাইলের ছেলে জাহিদ হাসান জানান, তাঁর বাবা আলুর ব্যবসা করতেন। তিনি সাদপন্থী। সাদবিরোধীরা মাঠে অবস্থান করে রাখার মধ্যেই তিনি মাঠে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। ধাক্কাধাক্কির সময় তাঁর বাবা সামনে ছিলেন। তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছিল। পরে সাদবিরোধীরা ধারালো কিছু দিয়ে তার বাবাকে আঘাত করে। গত দুই বছর ধরেই বিশ্ব তাবলিগ জামাতের নেতা মাওলানা সাদের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি পক্ষের বিরোধ তৈরি হয়। আর এই বিরোধের জেরে ২০১৭ সালে ঢাকায় এসেও ইজতেমায় যোগ দিতে পারেননি সাদ। এবারও ইজতেমা শুরুর আগে দুই পক্ষে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। গত দুই দিন ধরেই চলছে নানা ঘটনা।
যেভাবে গেট ভেঙ্গে ঢুকলো হাতাহাতি গ্রুপ😱 ২৮ শে অক্টোবরের লগি বৈঠার মারামারিকেও হার মানিয়েছে এতাআতিরা
Posted by Asiqur Rahman on Friday, 30 November 2018