![]() |
জীবনের গল্প / খেয়ালির কাছে শুনা / পার্ট-১ |
আমার বাবা সার্ভিস হোল্ডার ছিল। যখন আমি একটু একটু করে বেড়ে ওঠি(১বছর হবে)তখন বাবা রোজ সকালে যাওয়ার সময় আমাকে খাইয়ে যেতেন আর সন্ধ্যায় ফিরে ও নাকি আমার অনেক যত্ন নিতেন কারণ মা তেমন একটা যত্ন নিতো না বললেই চলে।ধীরে ধীরে বড় হতে লাগলাম সেই বয়সে আমি ব্যাশ ভালোই খাওয়া-দাওয়াই হয়। যত্ন না নিলে ও আমি ঠিক বেড়ে ওঠছিলাম মেয়ে হিসাবে।আমাকে সবাই খেয়ালি বলে ডাকতো কারণ এটা আমার দাদু দিয়েছিল আমাকে কারণ তখন নাকি বিটিভিতে এক জন সংবাদ পাঠিকা ছিলেন যার মতো দেখতে ছিলাম সেই থেকে খেয়ালি হয়ে বেড়ে ওঠ ভালোই কাটছিলো এরপর স্কুলে ভর্তি হওয়া পড়ালেখায় মোটামুটি ভালোই ছিলাম। এরপর অবশেষে আমার ভাইয়ের জন্ম। মা অনেক খুশি বংশের মুখ রক্ষা হলো শেষ পর্যন্ত।
তারপর স্কুলে আসা-যাওয়া শুর ম্যাডামরা খুব আদর করতেন আম্নু যেতে দেরি হলে কোলো নিয়ে যত্ন করতেন আম্মু না আসা পর্যন্ত।এই ভাবেই নাচে গানে ব্যাশ কাটছিলো যখন একটু একটুু করে বড় হতে লাগলাম তখন আমি মনে হয় ক্লাস ৭ থেকে ৮ এ উঠলাম তখন প্রেম ভালোবাসা বিভিন্ন ধরনের প্রোপোজ আসে এটা সবার ক্ষেত্রে হই।
কিন্ত আমাদের পরিবারটা ছিলো একদম ইসলামী মাইন্ডের আর আমাদের মহল্লাটায় ছিলো মৌওলবি পাড়া।সেই হিসাবে ছোট থেকেই পরিবার থেকে হিজাব, পরদা ছিলো।কিন্ত সেই যুগটা ছিলো ছেলেরা মেয়েদের পিছু পিছু স্কুলে যেতো চিঠি,ফুল আর ও কত কিছু দিতো।কিন্ত আমার সাথে আমার বাবার খুব ভালো বন্ডিং ছিলো তাই আমি এইধরনের কিছু পেলে আব্বুকে এসে দিয়ে বলতাম আজকে কে যেনো দিচ্ছে স্কুলে এটা বলেই সড়ে যেতাম কারণ আমার এইসব নিয়ে কোনো আগ্রহ ছিলোনা।
অনেক সময় চকলেট বক্স এ সাথে চিঠি নিয়ে ছোট বাচ্চার হাতে পাঠাত সেই চকলেট ও আব্বুকে দিয়ে দিতাম কিন্ত আব্বু আমাকে খেতে দিতো না কেনো যানি।সেই সময় আমাদের স্কুলে আমাদের স্কুলের ম্যাডামের ছেলে পড়তে আসে আমাদের সাথে। সে দেখতে ভালোই আবার নাকি খুব সুন্দর গান করতে পাড়ে গিটার এর শুরের তাল তুলে।সে স্কুলে আসা মাত্রই ক্লাসের সবাই তার সাথে কথা বলতে ব্যস্ত । চলবে...
লেখকঃ আবু নাঈম
লেখকঃ আবু নাঈম
No comments:
Post a Comment