Monday, January 14, 2019

বাংলাদেশ বিমানে ফ্লাইটে বেঁধে রাখা যাত্রীকে নিয়ে বেরিয়ে এলো আসল তথ্য !


ওই যাত্রীর আচরণ এতটাই উন্মত্ত ছিল যে, এক পর্যায়ে বিমানের কেবিন ক্রু ও অন্য যাত্রীর সহায়তায়ও তাকে থামানো যায়নি। পরবর্তীতে ওই যাত্রীকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জানুয়ারি এ ঘটনা ঘটে। লন্ডন-সিলেট ফ্লাইটে ঘটনাটি ঘটে। বোয়িং ৭৭৭, ৩০০ ইআর মডেলের উড়োজাহাজটি যখন মাঝ আকাশে তখনই ওই যাত্রী বেসামাল আচরণ শুরু করেন।

অশ্রাব্য ভাষার ভাষার প্রয়োগে আশপাশের যাত্রীরা বিরক্ত হতে থাকেন। এ সময় অন্য যাত্রীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে বিষয়টি বিমানের কেবিন ক্রুদের নজরে আনা হয়।

এরপর কেবিন ক্রু ও কয়েকজন যাত্রী মিলে ওই যাত্রীকে আবারও শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু কিছুতেই তাকে নিবৃত্ত করা যায়নি। এক পর্যায়ে ক্রু ও যাত্রীরা মিলে তাকে বেঁধে রাখার চেষ্টা করে। তখন ওই যাত্রী ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। কোনো এক পর্যায়ে সবাই ওই যাত্রীকে কিছুটা শান্ত করতে শারীরিক শক্তিও প্রয়োগ করেন।

বিমান সূত্রে আরো জানা যায়, লন্ডন-সিলেট রুটে মাঝে মাঝেই এধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। কেউ কেউ লাউঞ্জে বসে মদ পান করে উড়োজাহাজে উঠে অপ্রকৃতিস্থ ব্যবহার করে।

আবার কেউবা ফ্লাইটে বসে মদ খাওয়ার আবদার করে। যেহেতু রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে মদ সরবরাহ করা হয় না, তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব যাত্রী বেপরোয়া আচরণ শুরু করে। যাত্রীর আচরণ বুঝে বিমানের ক্যাপ্টেন আইনগত ব্যবস্থা নিতে থাকেন।

সূত্র জানায়, ওই যাত্রী এধরনের উন্মত্ত আচরণ করার পর বিমানের ফ্লাইটটি লন্ডন থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

এ বিষয়ে বিমানের জেনারেল ম্যানেজার শাকিল মেরাজ বলেন, ফ্লাইটের নিরাপত্তার জন্য যা যা করণীয় ক্যাপ্টেন তাই করে থাকেন। ফ্লাইট যদি গ্রাউন্ডে থাকে তাহলে ক্যাপ্টেনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ ধরনের মদ্যপ যাত্রীকে সুনির্দিষ্ট ফ্লাইট থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, মাঝ আকাশেও যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে বিমানের নিয়মানুযায়ী ক্যাপ্টেন সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। কাউকে কাউকে পুলিশেও হস্তান্তর করা হয়।

No comments:

Post a Comment

Copyright © স্বাধীন নিউজ

Canvas By: Fauzi Blog Responsive By: Muslim Blog Seo By: Habib Blog