![]() |
সংগৃহীত |
অধিক সংখ্যক অপরাধের কারণে ও অপরাধের ধরন বিবেচনা করে আদালত তিন বাংলাদেশিকে ইসলামী আইন অনুযায়ী ডাকাতির শাস্তি হিসেবে (হদ্দে হেরাবা) প্রত্যেকের ডান হাত এবং বাম পা কর্তনের আদেশ দেন। এ ছাড়াও আটক হওয়ার দিন থেকে এক বছর কারাভোগেরও রায় দেওয়া হয়। রায় কার্যকরের পর তাদের দেশে পাঠানো হবে।
শ্রম কাউন্সিলর জানান, রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সময় দেওয়া হয়। দূতাবাস কর্তৃপক্ষ কারাগারে তাদের সঙ্গে দেখা করে যেকোনো প্রয়োজনে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়। কিন্তু ওই তিন বাংলাদেশি বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে এ ব্যাপারে কোনো যোগাযোগ করেনি। সাজা ঘোষণার কিছুদিনের মধ্যে তাদের সৌদি সরকার সাজা মওকুফ করে দেবে এমন ধারণা থেকে তারা আপিল করেনি বলে দূতাবাসকে জানিয়েছে সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশিরা।
অপর এক চিঠিতে শ্রম কাউন্সিলর প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপটে অপরাধীদের পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষমার আবেদন পাওয়া গেলে সৌদি আরবে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো যেতে পারে। পরে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দণ্ডপ্রাপ্ত তিন বাংলাদেশির পক্ষে তাদের স্বজনরা আলাদা আলাদাভাবে সৌদি সরকারের কাছে দয়া মওকুফ চেয়ে আবেদন করেন।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সংস্থা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার দণ্ডপ্রাপ্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদিত ক্ষমার আবেদন রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। বাংলাদেশ দূতাবাস ক্ষমার এই আবেদন সৌদি সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে পেশ করবে।
No comments:
Post a Comment