![]() |
ধর্ষক রুহুল আমিন |
সুবর্ণচর উপজেলার মধ্যমবাগ্যা গ্রামের খোরশিদ আলমের পুত্র রুহুল আমিন। এলাকায় তার চায়ের দোকান ছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সে আমিন বাহিনী গঠন করে। তারপর থেকে রুহুল আমিন মানুষের জমিন দখল, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, খুন চালিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার মতো কারোর সাহস নেই।
রুহুল আমিন স্থানীয় একরাম নগরে ১০ একর ভূমি দখল করে ব্রিক ফিল্ড তৈরী করছে। এছাড়া আকবার নগরে সরকারি জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, খুন ছাড়াও সে এলাকায় শালিসী বৈঠক বসায়। গত ঈদুল আজহার আগে স্থানীয় ইমান আলীর পুত্র জহির, মুন্সির ছেলে নুর নবী, দুলারের মেয়ে জামাইকে ১০টি গরু চুরির অভিযোগে চোর সাব্যস্ত করে ১০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে। পরে এ টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা আত্বসাত করে।
এলাকা অনেক বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনার হোতা এই রুহুল আমিন। বিবাহ বিচ্ছেদের টাকা জমা নেয় রুহুল আমিন। পরে কিছু টাকা একপক্ষকে দেয় এবং অবশিষ্ট টাকা সে রেখে দেয়।
আবার, কোন বিয়েতে যৌতুক নেয়া হলে সেই টাকা থেকে নির্দিষ্ট অংশ রেখে দিতে হয় তার জন্যে ।
শুধুতাই নয় রুহুল আমিন প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় ছিদ্দিক উল্লা মেম্বার মসজিদের সভাপতি হয়। পরে মসজিদের জমি বিক্রি করে ৬ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
চা দোকানী রুহুল আমিন আজ কোটিপতি। সে সম্প্রতি প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয় করে বাড়ি নির্মাণ করেছে। তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য খাল ভরাট করে কালভার্ট নির্মাণ করেছে বলেও জানা গেছে।
No comments:
Post a Comment