![]() |
সংগৃহীত |
নির্বাচনের ফলাফল কি হবে তা আঁচ করতে পেরেছিলাম বহু আগেই। কিন্তু খেয়াল করলাম, নির্বাচন প্রাক্কালে ইতিবাচক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন সবাই। সে জন্য, নির্বাচনের আগাম ফলাফল কি হবে তা নিয়ে ক্যাচাল না করে ইতিবাচক থেকেছি। অনেকেই জানতে চাইতেন, কি হবে? জবাবে বলতাম, আল্লাহ যদি নিজ হাতে কোনও কিছু পরিবর্তন না করে দেন তবে স্বৈরাচারের প্রত্যাবর্তনই হতে যাচ্ছে।
গতরাতেও আমি খুব অভিমানী হয়ে উঠেছিলাম। খেয়াল করলাম, আমি সেই অভিমানের দমকা হাওয়ায় ঠিক স্থির হতে পারছি না। তওবা ও অভিমানী চিন্তারা প্যারালালি চলতে লাগলো। রাতে মেসমেট কে নিয়ে ফাঁকা রাস্তায় হাঁটতে বের হলাম। তাঁকে বলছিলাম, যদি আল্লাহ স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ কে আবারও ক্ষমতায় আনেন তবে কি এটা বড় একটা অবিচার হয়ে যাবে না? বিগত দশ বছর যারা টানা অত্যাচার সয়েছে, তাঁদের জন্য তো অন্তত পাঁচ বছরের একটা রেস্ট দরকার।
সেই ছেলেগুলোর কি হবে যারা গত আট দশ বছর বাড়ি যেতে পারে না, মায়ের সাথে দেখা করতে পারে না। তাদেরই বা কি হবে, যারা বিদেশে পালিয়ে গিয়ে টেলিফোনে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন। এর পর, কষ্টের টাকায় স্ত্রীকে এনে কিছুদিন একসাথে থাকার পর সে টাকাও ফুরিয়ে গেছে ফলে স্ত্রীকে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকের সন্তান হয়েছে প্রায় দুই বছর পেরিয়েছে, আজও কোলে নেয়া হয় নি। সরকারের তাড়া খেয়ে দেশ ছেড়েছেন, এর পর দুর থেকে শুধু একে একে মা বাবা ভাই বোনের মৃত্যুর সংবাদ শুনেছেন। কারও কবরে এক মূঠো মাটি দেয়ার সুযোগ হয়নি। এরাই কি আবার পাঁচ বছরের জন্য নির্যাতিত হবেন? এগুলো ভেবেই কিছুটা অভিমান এসেছিলো মনে। পরে কাশ্মীর, ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও মিশরের দিকে তাকিয়ে এই শান্তনা পেয়েছি যে, তাঁদের চাইতে তো অনেক ভালো আছি আমরা।
আজকে যখন স্বৈরাচার সরকারের প্রত্যাবর্তন হল, তখন আর আগের মতো খারাপ লাগছে না। এর কারণ অনেক, এই নির্বাচন বাঙালীর চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, সুন্দর সুন্দর চেহারাগুলোর অভ্যন্তরে কতো কুতসিৎ কদাকার মানুষেরা বসবাস করে। কিভাবে একটি জাতির মৌল নীতি, নৈতিকতা থেকে।
বাংলাদেশের একটি দৈনিক অনলাইন পত্রিকায় খবরে তিনি এই মন্তব্য দিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment