এই দৃশ্য সাসারাম জংশনে প্রতি সন্ধেতেই। ছবি: ইউটিউব থেকে |
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, বিহারের রোহতাস জেলার সাসারাম জংশনে প্রতিদিনই বিকেলের দিকে দলে দলে ছাত্রকে দেখা যায় বইখাতা হাতে নিয়ে হাজিরা দিতে। মূলত ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মেই ভিড় জমান তাঁরা। উদ্দেশ্য অতি মহৎ— লেখাপড়া করা।
রোহতাস জেলার দূর প্রান্ত থেকেও এখানে সমবেত হন ছাত্ররা। কারণ, এই দুই প্ল্যাটফর্মে চলে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার কোচিং। ‘কুইজ’ নামে এক সংস্থা এই বিচিত্র কোচিংটি চালায়। ২০০২ সালে এই কোচিং গড়ে ওঠে। এবং আজ তার ছাত্র সংখ্যা ১২০০-রও বেশি।
কিন্তু কেন সাসারাম জংশনকেই বেছে নিল পড়ুয়ারা? এর উত্তর খুবই সাধারণ। গোটা জেলায় এই রেল জংশনই একমাত্র জায়গা, যেখানে সারাদিন কারেন্ট যায় না। রোহতাস জেলার অগণিত গ্রাম আজও বিদ্যুৎ সংযোগবিহীন। অন্যত্রও বিদ্যুতের সরবরাহ বেশ গোলমেলে। তাই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কম্পিটিটিভ পরীক্ষার্থীরা সাড়া দিয়েছে ‘কুইজ’-এর আমন্ত্রণ।
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, অঙ্ক, রিজনিং, ইংরেজি— সব কিছুর পাঠই চলে প্ল্যাটফর্মে বসে। সেই সঙ্গে চলে ইন্টারভিউয়ের প্রস্তুতিও। সিনিয়র শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ান জুনিয়রদের। সমাজের পিছিয়ে থাকা অংশ থেকে আগত ছাত্রদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখেন মাস্টারমশাইরা।
না, বিনা পয়সায় এই কোচিংয়ে পড়া যায় না। তবে, টিউশন ফি-ও প্রায় জলেরই দর। প্রতি ১০০টি প্রশ্নের উত্তরের জন্য ছাত্রদের দিতে হয় ৩ টাকা মাত্র।
সব মিলিয়ে সাসারাম জমজমাট।
No comments:
Post a Comment