নিজের বেগমের স্মৃতিসৌধের সামনে বসে ‘শাহজাহান’। ছবি— ইউটিউব |
জীবনের ৫৮টি বছর কেটেছিল স্ত্রী তাজামুল্লি বেগমের সঙ্গে। গলায় ক্যানসার হয়ে ২০১১ সালে মারা যান তাজামুল্লি বেগম। তার পরেই তাজ মহলের এক প্রতিকৃতি নির্মাণে উদ্যোগী হন ফয়জল হাসান কাদরি।
উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহর জেলার কাসের কালান গ্রামের বাসিন্দা ফয়জল হাসান কাদরি এ বার চলে গেলেন তাঁর বেগমের কাছে। বৃহস্পতিবার বাড়ির কাছেই তাঁকে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাত প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ ঘটে এই দুর্ঘটনা। কিন্তু তাঁর পরিবার তা জানতে পারে প্রায় রাত ১টা নাগাদ। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিগড় হাসপাতালে। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। আজ, শুক্রবার, বেলা ১১টা নাগাদ মৃত্যু হয় ফয়জল হাসান কাদরির। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
নিঃসন্তান ছিলেন কাদরি ও তাঁর স্ত্রী। তাই পৈতৃক জমির অনেকটাই দান করেছিলেন মেয়েদের স্কুল গড়ার জন্য। তার পাশেই তিনি তৈরি করেছিলেন মিনি তাজ মহল। যার ভিতরে রয়েছে তাজামুল্লি বেগমের কবর। কবরের পাশে এক ফালি জায়গা রেখেছিলেন তাঁর নিজের জন্য, জানালেন ফয়জল হাসান কাদরির পরিবার।
পরিবারের তরফ থেকে আরও জানা যায়, প্রায় ২ লাখ টাকা জমিয়েছিলেন ফয়জল হাসান কাদরি। জয়পুর থেকে সাদা মার্বেল আনার জন্য। যাতে তাঁর মিনি তাজ মহল একেবারেই আসলের মতো দেখতে হয়। তবে, এখনও মার্বেল বসানোর কাজ বাকি রয়ে গিয়েছে সেই সৌধের।
ফয়জল হাসান কাদরির ভাইপো আসলম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর কাকার দেহ কবর দেওয়া হবে তাজামুল্লি বেগমের পাশেই। এবং তাঁর শেষ ইচ্ছে পূরণ করবেন আসলমই।
এবেলা
No comments:
Post a Comment