![]() |
ছবি-ইন্টারনেট |
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের জীবনে ব্যস্ততার কারনে অনেক কিছুর রুটিন ঠিক থাকে না। তবে ফিট থাকতে- আমি নামাজ পড়ি নিয়মিত।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় প্রচারিত রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ধারণকৃত ‘লেট’স টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ‘লেট’স টক’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো তরুণদের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তরুণদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী, শোনেন তরুণদের স্বপ্নের কথাও। রান্নাঘরের কথা থেকে শুরু করে, কৈশোরের দুরন্তপনা, স্কুলজীবনের মজার ঘটনা, মায়ের কাছে আবদার মেটানোর কৌশল, পারিবারিক ট্র্যাজেডি, বাধার পর বাধা ডিঙিয়ে এগিয়ে চলার গল্পসহ প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনার ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবনের নানা অজানা কথা উঠে এসেছে লেট’স টক অনুষ্ঠানে।
তরুণদের সঙ্গে প্রাণবন্ত আলাপনের ওই অনুষ্ঠানে এত পরিশ্রমের মাঝে শরীরকে কিভাবে ঠিক রাখছেন— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণভবনে থাকা অনেকটা বন্দিজীবনের মতো। ইচ্ছে করলে আমি বের হয়ে চলে যাব, হাঁটবো সেগুলো সুযোগ হয় না। ওর মধ্যেই একটু চেষ্টা করি হাঁটাচলা করতে, একটু সকালের দিকে উঠে ওখানে খোলা একটা ছাদ আছে, সেখানে হাঁটি।
শেখ হাসিনা বলেন, “পরিমিত আহার করলে সুস্থ থাকা যায়। আর চিন্তা-ভাবনাকে সচ্ছ রাখা এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ আমি সুস্থ্য থাকব এটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করা।”
নিজের জীবনটাকে দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসলে আমার নিজের বলতে কিছু নেই। রাতে ৫ ঘণ্টা ঘুমাই। আর বাকি সময় চেষ্টা করি, কত দ্রুত আমার কাজগুলো শেষ করতে পারি।”
অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা শহীদ বুদ্ধিজীবী সন্তান ডা. নুজহাত চৌধুরীর “এত খাটেন আপা, নিজের জন্য সময় পান?” এমন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, “কারণ, আমি জানি যে কোনো মুহূর্তে চলে যেতে হতে পারে। কখনো গুলি, কখনো গ্রেনেড হামালায়। তাই প্রতিটি মুহূর্তে দেশের মানুষের জন্য কিছু করে যাওয়ার চেষ্টা করি।”
অবসর সময়ে নাতি-নাতনিদের সঙ্গে লুডু, দাবা ও কেরাম খেলেন প্রধানমন্ত্রী। এক তরুণী জানতে চান আপনি নানি-দাদি হিসেবে কেমন? জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেটা আমার নাতিদের জিজ্ঞেস করলে বলবে। আমার খুব ভালো লাগে ওই ছোট্টগুলোর সঙ্গে থেকে শুরু করে বড়, সকলের সঙ্গে। আমরা লুডু খেলি, আমরা কেরাম খেলি, আমরা দাবা খেলি। আমরা তাদের সঙ্গে ছুটোছুটি করি।’
তিনি বলেন, ‘আমার নাতি-নাতনিরা আমার হাতের রান্না পছন্দ করে। যে যেটা খেতে চায় আবার একটু রান্নাও করি। আর ছোট্ট একটা আছে, সে আবার খুব ডিমান্ডিং। বলে দেয়, তুমি রান্না করবে। ববির ছোটটা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আবার অনেক সময় কোলে চড়ে বসে, আমাকে নির্দেশ দেয়। ভালো লাগে, যখন নাতি-নাতনি নিয়ে একসঙ্গে বসি। আবার কেরাম খেলার সময় একটু চিটিং করে। সেটা আবার ধরতে হয়। লুডু খেলার সময় সেগুলো হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে যখন নাতিদের সঙ্গে থাকি, তখন মনে হয় তাদের সঙ্গেই আছি। নাতি-নাতনিদের নিয়ে থাকা এই বৃদ্ধ বয়সে এর থেকে সুন্দর সময় আর কিছু হয় না।’
দৈনিক ভোরের পাতা
No comments:
Post a Comment